আমাদের প্রতিষ্ঠানে এসে প্রশিক্ষন নিতে পারবেন।
অন লাইনে ও প্রশিক্ষন নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
Duration : 3/6 Month
Days : Saturday,Sunday,Monday,Tuesday,Wednesday,Thursday, Friday
Schedule : 09:00:AM To 10:00:PM
Course Fee : 5000 /=
Discount : 500 /=
POWER POINT PRESENTATION
সূচনাঃ
এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম কল্পনা করা যাক যা গতিশীল দৃশ্যমান প্রেজেন্টেশন তৈরী ও গঠণ করতে পারে এবং যার মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়বস্তুগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যায়। যেমনঃ রঙিন ছবি বা ইমেজ, শব্দ, সচল চিত্র বা এনিমেশন, চার্ট ও গ্রাফ। এবং যা শ্রোতাদের জন্য লিখিত বক্তব্য তৈরী করে দেবে। প্রেজেন্টেশনের প্রতিটি স্লাইড নিজ কম্পিউটারের সাহায্যে চালানো যাবে। Microsoft PowerPoint এগুলো সবই করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, আরও অনেক কিছুই করতে সক্ষম।
Microsoft PowerPoint Open
Microsoft PowerPoint যেভাবে ওপেন করতে হবে।
Start > All Programs/ Programs > Microsoft PowerPoint > Enter দিলেই ওপেন হয়ে যাবে। এছাড়াও কিবোর্ড থেকে কমান্ড তৈরী করে নিয়েও সহজে এবং দ্রুত ওপেন করা যায়।
Title Bar :
Microsoft PowerPoint Windows এর একবারে উপরে যে বরাটি রয়েছে তাকে Application Title Bar বলা হয়। এই বারের সর্ববামে পাওয়ার পয়েন্টের নিজস্ব লগো থাকে। লগোর পরেই থাকে এ্যাপ্লিকেশ প্রোগ্রামের নাম Microsoft PowerPoint তারপর হাইফেন (-) এবং তৃতীয় বন্ধনীর ভিতর থাকে ডকুমেন্টের নাম। নিজে কোন নাম না দেওয়া পর্যন্ত কম্পিউটার নিজস্বভাবে Microsoft PowerPoint-[presentation-১] অথবা- [presentation-২] এই নামগুলো দিয়ে থাকে।
মেনু বারঃ পাওয়ার পয়েন্টে বিভিন্ন কাজ করার জন্য এখানে কয়েকটি মেনু শ্রেণীগত ভাবে অবস্থান করে। শ্রেণীগত বলার অর্থ প্রত্যেকটি মেনু আবার অনেকগুলো অপশনের সমন্বয়ে গঠিত।
যেমনঃ File. Edit, View, Insert, Format, Tools, Slide show, Window, Help ইত্যাদি মেনু আছে। File মেনুতে ক্লিক করলে New, Open, Close, Save ইত্যাদি সহ মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মেনুবারের অনুরূপ বিভিন্ন কমান্ডের তালিকা দেখতে পাওয়া যায়। এবং M.S Word এর মতো এগুলোকে ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পন্ন করা হয়।
ষ্ট্যান্ডার্ড টুলবারঃ ষ্ট্যন্ডার্ড টুলবারে ফাইল খোলা ও বন্ধ করাসহ মেনু বারের কাজগুলোই চিত্র যুক্ত টুলস হিসেবে দেয়া থাকে। এই চিত্রের উপর কমান্ড বা ক্লিক করেই ঠিক M.S Word এর মতোই প্রয়োজনীয় কার্য সম্পন্ন করা যায়।
ফর্মেটিং টুলবারঃ ফর্মেটিং টুলবারের সাহায্যে লেখা ফর্মেটিং করা সহ বিভিন্ন বেসিক বিষয়ে চিত্রযুক্ত টুল দেয়া থাকে।
আউট লাইন প্যানঃ স্বাভাবিক অবস্থায় এই অংশে প্রেজেন্টেশন স্লাইড নিয়ে কাজ করা হয় এবং গঠনগত দিক প্রদর্শিত হয়।
স্লাইড আইকন বক্সঃ এই বক্সে স্লাইডের ছোট রূপ প্রদর্শিত হয়। এতে করে সহজে স্লাইড সম্পর্কে জানা যায়।
স্লাইড প্যানঃ পর্দার মাঝের প্রধান অংশ; যেখানে স্লাইড নিয়ে কাজ করা হয়।
স্লাইডের নমুনাঃ কোন স্লাইড নির্বাচন করার পর স্লাইড প্যানে নমুনা স্লাইড প্রদর্শিত হয়।
মিনিমাইজ বার্টনঃ এপ্লিকেশন উইন্ডোকে টাস্কবারের একাটি বার্টনে পরিণত করে।
ম্যাক্সিমাইজ বার্টনঃ উইন্ডোকে বড় করে। সম্পূর্ণ স্কীন জুড়ে প্রদর্শিত হয়। উইন্ডো ম্যাক্সিমাইজ করা থাকলে রিষ্টোর বার্টন প্রদর্শিত হয়। এই রিষ্টোর বার্ট উইন্ডোকে পূর্বের আকারে নিয়ে যেতে পারে।
ক্লোজ বার্টনঃ এই বার্টনে কমান্ড করে প্রোগ্রাম উইন্ডো বন্ধ করা যায়।
ভিউ টুলবারঃ স্লাইডকে বিভিন্ন ভাবে দেখার জন্য কয়েকটি টুল বারে অবস্থান করে।
স্লাইড কাউন্টারঃ এখানে বর্তমান স্লাইডটির নম্বর প্রদর্শিত হয়।
আউট লাইন প্যান স্ক্রলবারঃ আউট লাইন প্যানে স্ক্রল করার জন্য বারকে সামনে বা পিছনে ড্রাগ করা হয়।
ড্রয়িং টুলবারঃ আঁকার জন্য প্রয়োজন এমন বিভিন্ন অপশনের চিত্র।
নোটস প্যানঃ নরমাল মোডে থাকা অবস্থায় এই অংশে বর্তমান স্লাইড সম্পর্কে নোট লিখে রাখা যায়।
অফিস এসিসটেন্টঃ পাওয়ার পয়েন্টে কাজের সময় বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার জন্য অফিস এসিসটেন্ট একটি উপযুক্ত টুল। যখনই কোন সাহায্যের প্রয়োজন হবে সঙ্গে সঙ্গে অফিস এসিসটেন্ট এর উপযুক্ত বক্সে প্রশ্নটি টাইপ করে সার্চ করলে সমাধান পাওয়া যায়।
উইন্ডোতে যদি অফিস এসিসটেন্ট দেখতে না পাওয়া যায় তাহলে Help > Office Assistant এ মাউসের পয়েন্টার দিয়ে কিক করলে অফিস এসিসটেন্ট পাওয়া যাবে। এরপর অফিস এসিসটেন্টের উপর কিক করলে প্রশ্ন লেখার বক্স আসবে যার উপরে লেখা থাকবে What I would you like to do ? এবার বক্সে নিজের প্রশ্নটি টাইপ করতে হবে। যেমনঃ লেখা যেতে পারে What is new in PowerPoint অথবা শুধু প্রশ্নের জন্য প্রয়োজনীয় মূল শব্দটি টাইপ করলেও চলবে যেমন New এরপর সার্চ বার্টনে ক্লিক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রশ্নটি যদি কম্পিউটারের কাছে বোধগম্য হয় তবে উত্তরসহ একটি মেনু ওপেন হবে।
টেক্স লে-আউট স্লাইড তৈরীর প্রক্রিয়াঃ
কর্মপদ্ধতি- ১ মেনুবার থেকে Insert > New Slide অপশনে মাউসের পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করতে হবে।
কর্মপদ্ধতি- ২ এই টাস্ক প্যানে ডিফল্ট হিসেবে দেয়া সকল লে-আউট দেখা যাবে। সব ধরনের লে আউট টাইপ দেবার জন্যে টাস্ক প্যানের স্ক্রলবক্সে মাউস পয়েন্টার চেপে ধরে উপর থেকে নীচে ধীরে ধীরে ড্রাগ করতে হবে।
কর্মপদ্ধতি- ৩ যে লে-আউটটি পছন্দ হবে তার উপর মাউসের ক্লিক করলে লে-আউট স্লাইড প্যানে প্রদর্শিত হবে।
প্লেস হোল্ডারে লেখার নিয়ম বা প্রক্রিয়াঃ
টাইটেল প্লেস হোল্ডারে লেখার জন্য ঐ প্লেস হোল্ডারে কিক করতে হবে। ফলে Click to add title লেখাটি অদৃশ্য হয়ে যাবে এবং কার্সর দেখা যাবে। এবার কী বোর্ড থেকে কাঙ্খিত লেখাটি টাইপ করতে হবে। এবং লেখা সম্পাদনা করার জন্য ব্যবহার করতে হবে। লেখা শেষ হলে প্লেস হোল্ডারের বাইরে মাউসের কিক করলে কাজটি সম্পন্ন হবে। একই ভাবে অন্যান্য প্লেস হোল্ডারে কিক করে লিখতে হবে।
টেক্স এর বানান পরীক্ষা করার প্রক্রিয়াঃ
স্পেইলিং চেকার-এ ক্লিক করলে বা স্পেইলিং চেকারকে নিরীক্ষার আদেশ দিলে প্রেজেন্টেশনের সকল প্রেসহোল্ডারের লেখাকে একে এক পরীক্ষা করতে থাকবে এবং যে স্থানে লিখিত শব্দটিকে তার অভিধানে খুঁজে পাবে না সেখানে নিরীক্ষা বন্ধ করে থেমে গিয়ে বানান শুদ্ধ করার জন্য ডায়াগ বক্স ওপেন করে বার্তা পাঠাবে।
শব্দের ভূল বানান শুদ্ধ করার প্রক্রিয়াঃ
লেখার নীচে তরঙ্গের ন্যায় লাল দাগ টানা আছে এমন একটি শব্দের উপর মাউসের পয়েন্টার স্থির করে মাউসের ডান বার্টন ক্লিক করলে সম্ভাব্য এক বা একাধিক শুদ্ধ বানানসহ একটি লিষ্ট আসবে। সম্ভাব্য শুদ্ধ বানানের লিষ্ট থেকে সঠিক শব্দটি নির্বাচন করে তাতে কিক করলে বানান আপনা আপনি শুদ্ধ হয়ে যাবে।
সম্পূর্ণ প্রেজেন্টেশনের বানান পরীক্ষা করার প্রক্রিয়াঃ
প্রেজেন্টেশনটি খোলা অবস্থায় মেনুবার থেকে Tools > spelling অপশনে মাউসের কিক করতে হবে। যদি শব্দটির বানান ঠিক থাকে তবে Ignore বা Ignore All বার্টনে ক্লিক করতে হবে। ভুল বানানের জন্য Suggestions বক্সে সম্ভাব্য শুদ্ধ বানান তালিকা থেকে সঠিক বানানটি নির্বাচন করে কিক এবং পরিবর্তনের জন্য Change বা Change All বার্টনে কিক করতে হবে। তাহলে কাজটি সম্পন্ন হবে।
কাষ্টমস এনিমেশনঃ কোন টেক্স তৈরীর পর Effect, Sound, Timing অপশন থেকে অপশন সিলেক্ট করে নিতে হয়।
New স্লাইডঃ নতুন স্লাইড নেওয়ার জন্য এই অপশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
স্লাইড শো করার প্রক্রিয়াঃ সমস্ত স্লাইড সম্পাদন করার পর স্ক্রীনে দেখার অপশন ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া অন্যান্য অক্ষরগুলো সাজানো, লেখা, রং পরিবর্তন ওয়ার্ড আর্ট, গ্রাফিক্স সবকিছুর ব্যবহার MS Word এর মতোই।
স্লাইড তৈরী করার পদ্ধতি ঃ
এতক্ষণ আমরা প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রাম এর বিভিন্ন অপশনের কাজ জানলাম এবার আমরা একটি স্লাউড তৈরি করবো। এজন্য আমাদের প্রথমে যা করতে হবে ঃ
প্রথমে প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রাম উইন্ডো ওপেন করতে হবে। এরপর ডিজাইন টেমপ্লেট থেকে একটি টেমপ্লেট পছন্দ করে নিয়ে স্লাইডের ক্লিক টু এড টাইটেল নিয়ে নিজের নামটি টাইপ করি। এরপর মেনু বারের স্লাইড শো মেনু থেকে কাষ্টমস এনিমেশন থেকে পছন্দ মতো ইফেক্ট সিলেক্ট করতে হবে, যদি এরপর আরও ইফেক্ট দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি তাহলে এই ইফেক্ট মেনু থেকে আরও ইফেক্ট সিলেক্ট করে নিতে হবে। এরপর ঐ একই মেনু থেকে স্লাইড ট্রানজেকশন নির্বাচন ওপেন করতে হবে। এবং একই মেনুর সেটআপ শো অপশনে গিয়ে শো অপশন থেকে প্রথম ধাপটি সিলেক্ট করতে হবে।
এরপর আবার স্লাইড ট্রানজেকশনে গিয়ে ডান পাশের ডায়ালগ বক্সের একেবারে নিচের দিক থেকে অন মাউস অপশন থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে অটোমেটিক শো অপশনে টিক দিয়ে দিতে হবে। এবার স্লাইড শো মেনু থেকে ভিউ শো অথবা কীবোর্ড থেকে এফ ফাইভ কী কমান্ড দিলে স্লাইডটির শো অটোমেটিক রানিং হবে।
একই পদ্ধতি অবলম্বন করে Add New স্লাইড অপশন থেকে নতুন নতুন পাতা নিয়ে অনেক অনেক স্লাইড তৈরি করে তা প্রদর্শন করানো যায়। নতুন নতুন পাতা সংযোজন করলে পাশে লেআউট উইন্ডেতে তা দেখা যাবে।
পূর্বের আলোচনা অনুসরণ করে স্লাইড এ ছবি, শব্দ, ভিডিও ইত্যাদি সংযোজন করা যায়। সব সময় মনে রাখতে হবে প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রামের কাজ খুবই কম কিন্তু বেশ চমকপ্রদ। তাই বারবার অনুশীলনের বিকল্প নেই। এছাড়া আপগ্রেড অফিস গুলোতে অনেক সুন্দর সুন্দর ইফেক্ট পাওয়া যাবে। যা ব্যবহার করে খুবই আকর্ষনীয় স্লাইড তৈরি করা এবং তা প্রদর্শন করা যাবে। সময় এবং সুযোগ হলে আরও আপগ্রেড প্রোগ্রাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
Microsoft Excel Course
এক্সেল কি
এক্সেল হলো মাইক্রোসফট অফিসের একটি স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম এবং অফিস ৩৬৫ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি অ্যাপ্লিকেশন। মাইক্রোসফট এক্সেল -এর মাধ্যমে একজন ইউজার স্প্রেডশিটের ডাটা ফরম্যাট, অর্গানাইজ এবং ক্যালকুলেট করতে পারবেন। এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটি উইন্ডোজ, ম্যাক-ওএস, এন্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যায়।
এ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামটির সাহায্যে জটিল গাণিতিক গণনা, ডাটা এন্ট্রি ও তথ্যকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনায় নিখুঁতভাবে চার্ট বা গ্রাফ তৈরি করা ইত্যাদি আরও অনেক জটিল কাজকে অতি সহজে সমাপন করা যায়। এক্সেলের সুবিশাল পৃষ্ঠাটি কলাম ও সারিভিত্তিক সেলে বিভক্ত হওয়ায় এতে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি করে তথ্য বিশ্লেষণ করা যায় বলে একে স্প্রেডশীট অ্যানালাইসিস প্রোগ্রাম বলা হয়।
Microsoft Excel Course
এই কোর্সটি থেকে যা শিখবেন
• এক্সেল এর অ্যাডভান্সড কাজগুলোর সহজ ব্যবহার শিখে অফিসের কাজে ও পড়াশোনায় প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানো
• এক্সেল এর মাধ্যমে ওয়ার্কশীটে ডেটা এনালাইসিস করা এবং অ্যাডভান্সড এক্সেল ফর্মুলা, ডাটা ফিল্টার ও চার্ট ব্যবহার
এই সফটওয়্যারটির স্প্রেডশিটকে আমরা একটি বিরাট পৃষ্ঠা হিসেবে ধরতে পারি। একটি খাতায় কলম, রাবার ও ক্যালকুলেটরের সাহায্যে আমরা যা যা করতে পারে এক্সেল স্প্রেডশিটে আমরা তার চেয়েও বেশি এবং জটিল কাজ করতে পারি।
কম্পিউটারের কী-বোর্ডকে কলমের মতো ব্যবহার করে স্প্রেডশীটে আমরা বিভিন্ন আক্ষরিক ও গাণিতিক তথ্য লিখতে পারি এবং গাণিতিক তথ্যগুলোকে এক্সেলের বিভিন্ন ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনাসহ, যাবতীয় অর্থনৈতিক হিসাব নিকাশ- এক কথায় হিসাব সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত কাজ এক্সেলের স্প্রেডশীটে করা যায়।
এক্সেল এর কাজ কি কি? এক্সেলের মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডাটা সংগঠিত করার মাধ্যমে, ডাটা বিশ্লেষক এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীরা ডাটা যুক্ত বা পরিবর্তিত হওয়ার সাথে সাথে তথ্য দেখার ব্যাপারটা সহজ করে তুলতে পারে। অ্যালফাবেটিক্যাল লেটারগুলো সাধারণত কলামে এবং নম্বরগুলো রো’তে লেখা হয়। কলাম ও রো একত্রে যেখানে থাকে তাকে সেল বলে। এক্সেলের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক বক্স রয়েছে যেগুলো হলো সেল। এগুলো সারি এবং কলামে সাজানো হয়। এই সেলগুলোতে ডাটা স্থাপন করা হয়।
এই স্প্রেডশিট প্রোগ্রামটি নিউমেরিক্যাল ও স্ট্যাটিসটিক্যাল ডাটা রেকর্ড এবং বিশ্লেষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়৷ এর অসংখ্য ফিচার রয়েছে, যেমন: ক্যালকুলেশন, পিভট টেবিল, গ্রাফ টুল, ম্যাক্রো প্রোগ্রামিং ইত্যাদি।
এক্সেল কি তা হয়তো বুঝে ফেলেছেন। কিন্তু কেন শিখবেন মাইক্রোসফট এক্সেল?
মাইক্রোসফট এক্সেল কেন শিখবেন?
মাইক্রোসফট এক্সেল হলো এমন এক কম্পিউটার স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম যেখানে বিশাল সংখ্যা ডাটা সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়৷ এখানে বেসিক গাণিতিক ফাংশন থেকে শুরু করে জটিল পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ পর্যন্ত ডেটা বাছাই এবং বিশ্লেষণ করার জন্য অসংখ্য ফিচার রয়েছে। এক্সেল এর কাজ কি অনেক? হ্যাঁ, অনেক৷ এটি সারা বিশ্ব জুড়ে সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রোগ্রামগুলোর একটি। বলা হয়ে থাকে, চাকরি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্কিল হচ্ছে স্প্রেডশিট ও ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার স্কিল। এরপরেও অনেকেই এক্সেলের ফিচার দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার ফলে এর কাজ কখনোই শেখেন না।
এক্সেল এর কাজ কি কি? এই যেমন ডাটা গুছিয়ে রাখার জন্য আর কোনো ভালো সফটওয়্যার আছে? গ্রাফিকসের মাধ্যমে কি ভালোমতো কমিউনিকেট করা যাবে? নিজের সব আইডিয়া কোথায় নোট করলে ভালো হয়? এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটি ওপেন করে সব এখানেই রেখে দিন! কারণ সব কিছুর সমাধান এই এক সফটওয়্যার এই পেয়ে যাবেন! আপনি যদি সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা শুরু করতে চান কিংবা এক্সেলে আপনার দক্ষতা বাড়াতে আগ্রহী হন, তাহলে এই ব্লগটা আপনার জন্যই!
• দ্রুত পদন্নোতি
নিয়োগকর্তারা এমন কর্মীদের নিয়োগ দিতে চান যাদের এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটি সম্পর্কে জ্ঞান আছে৷ কারণ এতে করে আপনার বিশ্লেষণী জ্ঞান সম্পর্কে একটা ধারণা নিয়োগকারী পেয়ে যান। এক্সেলের দক্ষতা আপনাকে কোম্পানির সম্পদে পরিণত করবে৷ এই কারণে নিয়োগকর্তারা চাকরির সার্কুলারে এক্সেল জ্ঞান থাকার ব্যাপারটা উল্লেখ করে দেন৷ তাছাড়া, আপনি কি জানেন এক্সেলের কাজ জানলে আপনার বেতন বৃদ্ধি পেতে পারে?
• কর্মক্ষেত্রে সুবিধা
গবেষণায় দেখা যায়, যাদের এক্সেল জ্ঞান বেশি, তারা মাঝারি দক্ষদের তুলনায় বেশি উপার্জন করেন। শুধু ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার বা অ্যাকাউন্টেন্টসই না, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, গ্রাফিক ডিজাইনার থেকে শুরু করে কমবেশি সবাই এক্সেলের দিকে ঝুঁকছেন। অফিসে আপনার কাজ যাই হোক না কেন, এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটি আপনার ব্যবহার করতেই হবে। আর এক্সেলে প্রো হলে অফিসের বস কিংবা কলিগও কিন্তু আপনার কাছেই কাজ শিখতে আসবেন! এক্সেল এর কাজ আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে। এটা কিন্তু একটা প্লাস পয়েন্ট!
• দ্রুততার সাথে কাজের উপায়
ডাটা অর্গানাইজ ও ম্যানিপুলেট করা বেশ সময়সাপেক্ষ একটা কাজ। কিন্তু এক্সেল এর কাজ হলো, সে এই কাজের গতি কেবল বৃদ্ধিই করবে না, একইসাথে নম্বর গোণা ও ভুল করার হারও কমিয়ে দিবে। এটা আপনাকে বেশি সংখ্যক ডাটা বিশ্লেষণে সহায়তা করে৷ আর আপনি যদি একবার এর সমস্ত ব্যবহার শিখে নিতে পারেন, তাহলে যেকোনো জটিল স্ট্যাটিসটিক্যাল অ্যানালাইসিস ভালোমতো করতে পারবেন৷ আর কিবোর্ড শর্টকাট শিখে ফেললে প্রোডাক্টিভিটি ঠেকায় কে? এইজন্যই নিয়োগকর্তারা কর্মীদের এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটির স্কিলের উপর বেশি জোর দেন।
• ডাটার সঠিক ব্যবহার:
এক্সেল দিয়ে আপনি বিশাল পরিমাণ ডাটা সংরক্ষণ করতে পারবেন৷ শুধু তাই নয়, এক ডাটার সাথে আরেক ডাটার সম্পর্কও খুঁজে বের করা যাবে।
এই ডাটাগুলো আপনি একা নয়, বিশ্বের যে কেউই ব্যবহার করতে পারবেন। তাও আবার বিনামূল্যে। এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটি মাইক্রোসফট অফিসের অংশ হওয়ায় এটা খুব সহজেই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা পাওয়ারপয়েন্টে লিখিতভাবে ট্রান্সফার করা যায়৷ যদিও প্রথমে এই কাজ জটিল মনে হবে, কিন্তু একবার যদি এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটির মাস্টার হয়ে যান, তাহলে জীবন সহজ হয়ে যাবে!
এটা আপনার কর্মদক্ষতা ও ক্যারিয়ারের উন্নয়ন ঘটাতে পারে। এমনকি ব্যক্তিগত ফাইন্যান্স দেখভালের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় কাজগুলোও এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটি সহজ করে দেয়৷ এক্সেল হলো সহজে ব্যবহারযোগ্য সফটওয়্যার যা জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে একটি মূল্যবান হাতিয়ার এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়৷ বুঝতে পারছেন এক্সেল এর প্রয়োজনীয় কি!
• ডাটা সহজে নেভিগেট করা যায়:
বেসিক থেকে জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান গ্রাফিকস ও চার্টের মাধ্যমে দ্রুত পাওয়া যায়৷ আগে থেকেই ডাটা বিশ্লেষণ করে ফলাফল অনুমান করা যায়৷
পিক্সলেটেড ইমেজ তৈরি ও এডিট করা যায়। এক্সেল আপনাকে নির্ভুল অংক করতে সাহায্য করে। এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটির ব্যবহার আপনার ব্যক্তি ও কর্ম দুই জীবনেরই সময় বাঁচায়৷ এক্সেল এর এত শত কাজ দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এক্সেল কি কি করতে পারে!
এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটি শুরুতে বেশ জটিল কিছু মনে হলেও, যখন ধীরে ধীরে দৈনন্দিন জীবনে এইটা ব্যবহার করা শুরু করবেন, তখন ব্যাপারগুলো বেশ সহজ মনে হবে।
নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন মাইক্রোসফট এক্সেল শেখাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক এক্সেল কি কি করতে পারে!